Loading...

News Details

বিএসএমআরএএইউ এর উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমআরএএইউ) এর উদ্যোগে ৭ই মার্চ ২০২৪ তারিখে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণের উপর আলোচনা অনুষ্ঠান ও প্রামান্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি লালমনিরহাট ক্যাম্পাস ও ঢাকা ক্যাম্পাসে একযোগে উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম মনিরুল বাহার, বিএসপি, এনডিসি, এইচডিএমসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এডিডব্লিউসি লালমনিরহাট ক্যাম্পাসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মাননীয় উপাচার্য মহোদয় তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই হৃদয় উৎসারিত শ্রদ্ধা জানান ‘বিশ্ব প্রামান্য দলিল এ জায়গা করে নেয়া শ্রেষ্ঠ ভাষণের ‘কবি’, বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‍যিনি সারাবিশ্বে অভিঘাত সৃষ্টিকারী এই ভাষণের মাধ্যমে জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্নবীজ বপন করেছিলেন। তিনি বলেন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৮ মিনিটের উক্ত ভাষণের মাধ্যমেই রচিত হয় বাঙালী মহাকালের ইতিহাস আর বঙ্গবন্ধু লাভ করেন ইতিহাসের পাতায় অমরত্ব। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসন-শোষনের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং তিনি অতি শক্তিশালী ও মর্মস্পর্শী শব্দ চয়নে তৎকালীন অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি ও কর্মসূচীর ব্যাখ্যা দেন। এ ভাষণেই তিনি দেশের ৭ কোটি মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে। মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় অঙ্গীকার করেন, আমরাও বঙ্গবন্ধুর আদলে উজ্জিবীত হয়ে অ্যাভিয়েশন প্রযু্ক্তির জগতে বিশ্বমান অর্জন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্ভ্রমপূর্ণ আসনে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করবো। অনুষ্ঠানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।